
সকালে চা খাওয়ার আগে একটু চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে খবরের কাগজ পড়া স্বভাব প্রভাতের। আজও তাই পড়ছিলঃ এই গ্রহে বেশ কয়েক কোটি বছর আগেও নাকি প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাবনা টের পাওয়া গেছে। এখানে জল ছিল এমন কি সাগর তরঙ্গের অস্তিত্বও পাওয়া গেছে। এই গ্রহ যে বহু দিক থেকে পৃথিবীর মত প্রাণী বসবাসের অনুকূল তা বিজ্ঞানীরা বেশ কিছুটা অনুধাবন করতে পেরেছেন।
চায়ের কাপ হাতে করে এনেও চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল সঙ্গীতা। সে একমনে প্রভাতের কাগজ পড়া শুনছিল। তাকে দেখে প্রভাত একটু থামতেই সে জিজ্ঞেস করল, এ কোন গ্রহের কথা পড়ছ গো?
-গ্রহটা হল মঙ্গল। মানে আমরা ভালোবেসে যাকে বলি লাল গ্রহ। মানে রেড প্ল্যানেট।
-তাই নাকি? মঙ্গল গ্রহে প্রাণী আছে?
-আরে না না। তবে বহু কোটি বছর আগে সেখানে এই সম্ভাবনা ছিল বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। আসলে কী জানো প্রাণের উপস্থিতির জন্যে দুটো জিনিস দরকার। দরকার মানে ধরতে গেলে খুবই জরুরি। সেগুলো হল বাতাস আর জল। বাতাসে অক্সিজেন থাকে আর জল যে প্রাণী মাত্রেই প্রয়োজনীয় তা তো জানোই। তবে এ সবই এখনও পর্যন্ত ধরতে পারো আন্দাজ আর কী।
খুব চিন্তাচ্ছন্ন দেখাচ্ছিল সঙ্গীতাকে। প্রভাত বলল, কিছু ভাবছ নাকি?
-ভাবছি মানুষ এমন আন্দাজ করছে কেমন করে। আচ্ছা বল তো কত দূরে আছে এই লাল গ্রহটা-
মাঝপথে তাকে থামিয়ে দিয়ে প্রভাত বলল, তিন কোটি উনচল্লিশ লক্ষ থেকে পাঁচ কোটি ছেচল্লিশ লক্ষ কিলোমিটার।
-এত দূরের একটা গ্রহের মাটিতে কী আছে না আছে তা বিজ্ঞানীরা জানল কেমন করে?
হাতের ঘড়ি দেখল প্রভাত। বলল, কিন্তু আমার তো সময় হয়ে গেল প্রিয়ে। আজ যে দশটায় ক্লাস।
সে উঠে পড়তেই খপ করে তার হাতটা ধরে ফেলল সঙ্গীতা, প্লিজ একটু অন্তত কিছু-
-রিমোট সেন্সিং মানে দূর অনুভব।
-দূর অনুভব? সে আবার কী?
-মানে দূরের গন্ধ শোঁকা। এই যেমন তুমি দূরে রান্নাঘরে রান্না কর আর আমি এখানে বসে কাগজ পড়তে পড়তে তার খুসবাই শুঁকি।
বলে সঙ্গীতার হাত ছাড়িয়ে এক দৌড়ে বাথরুমে ঢুকে গেল প্রভাত।
-বেশ বেশ। তবে আজ আর টিফিনে বেগুন ভাজা পাবে না বলে দিলুম। পাবে না রসগোল্লাও। শুকনো রুটি গিলতে হবে।
হুড় হুড় করে মাথায় জল ঢালতে ঢালতে প্রভাত বলল, প্লিজ অমন কর না ডার্লিং। আমি কলেজ থেকে ফিরে এসেই সন্ধ্যেবেলায়-
বাকি কথাটা জলের তোড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল।
বিকেল বেলা রাগ করে পকোড়া করেছিল সংগীতা। চায়ের সঙ্গে এই কড়মড়ে জিনিসটা পেয়ে কিন্তু খুব খুশিই হয়েছে প্রভাত। বলল, আজ আমি মনে মনে এই জিনিসটাই চেয়েছিলাম। তুমি যে কেমন ভাবে জেনে ফেললে তা কে জানে।
-রিমোট সেন্সিং-
হঠাৎ কথাটায় একটু চমকে গেল প্রভাত, মানে?
সঙ্গীতার মুখে দুষ্টু হাসি, মানে রিমোট সেন্সিং করে জেনেছি আর কী। যেমন করে বিজ্ঞানীরা মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের আন্দাজ করেছে। তেমন আর কী।
হাসি প্রভাতের মুখেও, বুঝেছি। তুমি ছাড়বে না।
মুখে সেই দুষ্টু হাসিটা বজায় রেখেই সঙ্গীতা বলল, নো ছাড়ান নো ছোড়ান।
-আরে একটু রেস্ট তো অন্তত নিতে দাও। কলেজে আজ ভর্তি ক্লাস ছিল। বকে বকে জান কয়লা।
-বিশ্রাম পেতে পারো। তবে কচুরি পাবে না।
-কচুরি?
-হ্যাঁ কচুরি। আজকাল হিং-এর চল অতটা নেই নাহলে হয়ত ক্লাস করাতে করাতেই গন্ধ পেতে।
-হ্যাঁ তা পেতাম।
-হ্যাঁ পেতে। রিমোট সেন্সিং-এ পেতে। মানে শুধুই দূর অনুভবে। এখন রিমোট সেন্সিং আগে, কচুরি পরে। ঠান্ডা হয়ে গেলে সে দোষ কিন্তু আমার নয়। ফেল রিমোট সেন্সিং খাও কচুরি।
রাগ ভরা মুখেও দিব্বি হাসি সঙ্গীতার।
কিন্তু প্রভাতের মুখটা খুবই ক্লান্ত লাগছিল। দেখে মায়াও হল সঙ্গীতার। হেসে বলল, আরে আমি ইয়ার্কি করছিলাম। যাও যাও। বিশ্রাম কর। আধঘন্টার মধ্যেই আমি নিয়ে যাচ্ছি।
গরম কচুরির স্বাদের থেকেও গন্ধ নাকি দারুন হয়। সেই গন্ধের স্বাদ নিতে নিতে প্রভাত বলল, দেখ দূরকে আমাদের তো জানতেই হয়। কিন্তু সব দূরে তো আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব হয় না। অনেক জিনিস এতই দূরে থাকে যে তা কোনও গাড়িতে করেও যাওয়া যায় না।
সঙ্গীতা বলল, জানি জানি। যেমন মহাকাশে যে সমস্ত গ্রহ-নক্ষত্রেরা আছে তাদের জানতে গেলে-
-হ্যাঁ ঠিক ধরেছ। এখানে আমরা খুব শক্তিশালী দূরবীন দিয়েও দেখতে পারি না এতই দূরে থাকে বলে। কিন্তু তাদের তো জানতে হবে। আর এই জানার জন্যে আমাদের কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয় যাকে বলে এই রিমোট সেন্সিং বা দূর অনুধাবন। অর্থাৎ চলতি কথায় বোঝা। দেখ সঙ্গীতা এটা তুমি জানো যে পৃথিবী কিন্তু এই জগতছাড়া কোনও বস্তু নয়। সে এই জগতেরই বস্তু আর বাইরের জগতের সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে বিস্তর। যেমন কাছের তেমনই বহু দূরের কোনও গ্রহ বা তারা বা অন্য যেকোনো মহাকাশের বস্তু থেকে আলো বা অন্য রেডিও তরঙ্গ আসতে পারে আর পড়তে পারে ভূপৃষ্ঠে। আর এসে প্রতিফলিত হতেও পারে মানে বাইরে ছিটকে পড়তেও পারে।
-আর শব্দ? শব্দ কেন নয়? কথাটা যেন ছিটকে পড়ল সঙ্গীতার মুখ থেকে।
-শব্দ নয় দুটো কারণে। এক, শব্দ মাধ্যম ছাড়া যেতে পারে না। আর মহাকাশে কোনও শব্দের পরিবহনযোগ্য মাধ্যম নেই। আর দুই শব্দের গতিবেগ অন্যান্য তরঙ্গের থেকে অনেক কম। আর তিন, শব্দ কোনও রেডিও তরঙ্গ নয়।
-বাবা রে বাবা। সব গোলমাল হয়ে যাচ্ছে। আচ্ছা শব্দও তো আবার তরঙ্গ হয়েই যায় শুনেছি। আবার বলছ রেডিও তরঙ্গ। এই দুটো দুরকমের নাকি?
-বটেই তো। একটা কচুরি কামড়ে নিয়ে প্রভাত বলল, হ্যাঁ ঠিক। রেডিও ওয়েভ পুরোপুরি শক্তি যা মাধ্যম বেয়ে বা না পেলেও মাধ্যম ছাড়াই যেতে পারে। শব্দ কিন্তু মাধ্যম ছাড়া এগোতে পারে না।
সঙ্গীতা অবাক হয়ে বলল, মহাকাশে তবে শব্দ যায় না বলছ?
-একটা ছোট উদাহরণ দিচ্ছি নিজেই বুঝে যাও। সূর্য থেকে মাত্র আট মিনিটের মত সময়ে সূর্যের থেকে আলো পৌঁছে যায় আমাদের পৃথিবীতে। সূর্যের ভেতরে যে অহরহ অজস্র বিস্ফোরণ হচ্ছে তার শব্দ কি কানে আসে আমাদের?
সঙ্গীতা একটু ভেবে বলল, না তা তো নয়? মহাকাশে বাতাস নেই বলে?
প্রভাত বলল, হ্যাঁ একেবারে ঠিক বলেছ। তা যেটা বলছিলাম। এবার কথা হল এই যে রেডিও ওয়েভ ইত্যাদি এল তাদের বিশ্লেষণ করে নানা তথ্য আমরা সংগ্রহ করি। আবার সেই তথ্যগুলি থেকে এই সব তরঙ্গগুলির উৎস মানে কোথা থেকে আসছে, উৎপত্তি মানে কেমন ভাবে সেখানে উৎপন্ন হল আর কীভাবেই বা এখানে এল সেটা এই সব তথ্য বিস্তারিত ভাবে সংগ্রহ করা হয়।
-তা এগুলো কি সব আমাদের এই মাটিতে বসে বসেই করা যায় নাকি?
-আরে না না। এগুলো সংগ্রহ আর বিশ্লেষণের নানা প্লাটফর্ম আছে। যেমন ধর স্যাটেলাইট মানে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে যা একটা বিশাল আকারের জায়গা থেকে এই কাজটা করতে থাকে। আর ভূপৃষ্ঠের চারপাশে যে বায়ুমন্ডল আছে সেখানে উড়োজাহাজ পাঠিয়েও বাতাস থেকে এটা সংগ্রহ করা যায়। মাটির কাছাকাছি অঞ্চলের তথ্য পেতে উঁচু টাওয়ার থেকে এটা করা যায়। কাছ থেকে এই তথগুলি সহজে আর বিস্তারিত ভাবে পাওয়া যেতে পারে।
চুপ করে মন দিয়ে শুনলছিল সঙ্গীতা। এবার জিজ্ঞেস করল, তা এই সব তথ্য মানে মাটির কাছাকাছি এই তথ্য কী এমন কাজে আসবে শুনি?
-মাটি থেকে বা তার কাছাকাছি অঞ্চল থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করা হয় তার কিছুটা স্থানিক হলেও কিছুটা দূরবর্তী হতে পারে। কারণ পৃথিবীর বাইরে থেকেও প্রচুর কিছু বাইরে মানে আকাশ থেকে ভূপৃষ্ঠে এসে পড়ে আর তার আবার কিছু বাতাসেও থাকে। সে যাই হোক, এই যে রিমোট সেন্সিং এই ফল বেশ কিছু কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে আর বর্তমানে তা আবশ্যিক ভাবে হয়ে চলেছে। যেমন ধর বনাঞ্চল নিধনের অবগতি। তুমি জানো আজকাল বন কেটে বসতি নির্মাণের কাজ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই কোথাও বন কাটা হল কিনা বা হচ্ছে কিনা সেটা জানা যেতে পারে এই পদ্ধতিতে। এমন কি কোথাও বনাঞ্চলের গাছপালা প্রাকৃতিক বা আবহাওয়া জনিত কারণেও হ্রাস পাচ্ছে কিনা সেটাও জানা যেতে পারে এই পদ্ধতিতে। আবার উল্টোটাও হতে পারে। অর্থাৎ বনাঞ্চল বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা।
-অবাক কান্ড সেটা কেমন করে?
-ওই যে বললুম সেখান থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে? ভরাট বনাঞ্চল থেকে যা তথ্য পাওয়া যায় গাছপালা শূন্য বা আংশিক গাছপালা ভরা জঙ্গল থেকে স্বভাবতই তা পাওয়া যাবে না। একটি ভরাট বনাঞ্চলের বাতাসে যে সমস্ত রাসায়নিক পাওয়া যাবে সেটা কি সেই বনভূমি কেটে নিয়ে কারখানা বা ফ্ল্যাট করলে পাওয়া যাবে? সুতরাং প্রাপ্ত তথ্যগুলির বিশ্লেষণ আর পূর্বের সঙ্গে তাকে মিলিয়ে নিয়ে অনায়াসে বলা চলে পরিবর্তন কিছু হয়েছে কিনা অথবা হলে সে পরিবর্তন কেমন ধরণের। বা যদি স্থানিক আবহাওয়া বা পরিবেশ দূষণের কারণেও এটা হয়ে থাকে তবে এই রিমোট সেন্সিং-এর মাধ্যমে জানা যাবে সেটা আর দূষণ হয়ে থাকলে সেটা কী ধরণের। আর এই দূষণের সম্ভাব্য কারণও বিশ্লেষণ করা যাবে।
সঙ্গীতা গালে হাত দিয়ে বলল, ওরে বাবা বিজ্ঞান কোথায় চলে গেছে গো? কত দূরে। আর এর জন্যে সেখানে একটুও তার কাছে যেতে হবে না দূর থেকেই হয়ে যাবে?
-হ্যাঁ হ্যাঁ অবভিয়াসলি। ভেবে দেখ না এসব ক্ষেত্রে স্পটে গিয়ে ভেরিফাই করাটা কত অসুবিধের। এমন কি ঝুঁকিও থাকতে পারে। এগুলো যদি কোনও দুষ্ট চক্রের কাজ হয় তো তারা কি দেবে তোমায় সুষ্টু ভাবে কাজ করতে? বেশি হলে খুন পর্যন্ত করে ফেলতে তো পারে। আরও কত কী তার ঠিক নেই।
-বেশ তারপর?
-তারপর ধর কৃষিতে। যে ফসল ধরেছে অথবা ধরতে চলেছে তার স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আগাম কিছু ধ্যান ধারণা দিতে পারে। এমন কি ফসল কতটা হতে পারে তারও। তাছাড়া এখানকার সেচ ঠিক চলছে কিনা বা জমির জল ঠিক মত নিষ্কাসন হচ্ছে কিনা। কোনও ভাইরাস বা পোকার সংক্রমণ হল কিনা।
-গ্রেট গ্রেট। হাততালি দিয়ে উঠল সঙ্গীতা, যত শুনছি ততই অভিভূত হচ্ছি।
-তারপর ধর কোথাও বন্যা হলে সে জল কতটা নেমেছে বা তা জমির বা বাস্তু অঞ্চলের কতটা ক্ষতি করল অথবা কোনও স্থান ভূমিকম্প বিধ্বস্ত হয়েছে আর সে স্থান অগম্য।। সেখানের প্রকৃত হাল হকিকত জানার চেষ্টা করা যেতে পারে আর হয় এই রিমোট সেন্সিং-এর সাহায্যে। অথবা ধর কোনও বনে আগুন ধরে গেছে। সেখানের উদ্ভিদ, মাটি আর পশুদের অবস্থার আগাম আঁচ পাওয়া সেটাও সম্ভব এর সাহায্যে।
-তার মানে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এই তো?
-একেবারে ঠিক। তবে এই সব নয়। আরও আছে কিছু। যেমন ধর নগরায়ন কীভাবে এগোচ্ছে। তা বনাঞ্চলকে গ্রাস করছে কিনা বা করলে কতটা গ্রাস করছে। নগর, উপনগরী, শহর আর শহরতলির অবস্থা। সেখানকার বাতাসের অক্সিজেন সেখানে যত সংখ্যক মানুষ বাস করছে সেই ভার সহ্য করার অবস্থায় আছে কিনা। কোনও স্থানের পরিবহন চিত্র। যানবাহনের আধিক্য সেখানের বাতাসকে কতটা দূষিত করছে। সেই অনুযায়ী সেখানের যানবাহনের মধ্যে একটা ভারসাম্য আনার চেষ্টা করা যেতে পারে।
-আর বল না আর বল না। আমার মাথা ঘুরছে।
-আর একটু মাথাকে ঘুরতে দাও। বেশি বলব না। কারণ বেশি মানে তো বিরাট যার কোনও শেষ নেই। ম্যাপ বানাতে, জমির চরিত্র বুঝতে আর ভূত্বকের অবস্থা বিশ্লেষণ করতে।।
-ব্যাস শেষ?
-আপাতত।
-কিন্তু এ তো সবই আমাদের পৃথিবীর ভেতরের বিষয় গো। বাইরের কিছু বলবে না?
প্রভাত হেসে বলল, শুনতে চাও?
সঙ্গীতা হেসে বলল, অপেক্ষা করে আছি অধীর আগ্রহে।
-কিন্তু সে তো এক বিশাল ব্যাপার। আজ তো হবে না। কিছুদিন পরে আবার বলব। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি শুধু তোমার কেন সকলেরই ভালো লাগবে।
সঙ্গীতা হাসল।। বলল, আমিও গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আমি শুনব আর সেদিন মোচার চপ করে খাওয়াব তোমায়।
-বেশ বেশ। আমি রিমোট সেন্সিং-এ গন্ধ পেয়ে একটা ক্লাস না পড়িয়েই নাহয় ছুটে আসব।